md abu kalam
গ্যানোডার্মা বা মাশরুম কি? গ্যানোডার্মা মাশরুমের ভেষজ (Herbal) গুনাবলী ও উপকারিতা
মাশরুম একটি বিজ্ঞানসম্মত খাবার হলেও অধিকাংশ লোকের কাছে এটি অপরিচিত নাম। আমরা মাশরুমকে “ব্যাঙের ছাতা” বলেই চিনি। মূলতঃ মাশরুম গবেষণাগারে উদ্ভাবিত অঙ্কুর বা রেণু দ্বারা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করা, সুস্বাদু পুষ্ঠিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাওয়ার। প্রতিকেজি শুকনো মাশরুম এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে উন্নত দেশে মাশরুমের কদর অত্যন্ত বেশী।
মাশরুম গভীর অরণ্যে মরা গাছের উপর জন্মায়। মাশরুম এক প্রকার ছত্রাক এর বৈজ্ঞানিক নামঃ গ্যানোডার্মা লুসিডাম, একে গ্যানোডার্মা বা গ্যানো বলা হয়। একে চীনা ভাষায় লিংঝি এবং জাপানী ভাষায় ঋষি বলা হয়।
গ্যানোডার্মা বা মাশরুমের প্রকারভেদ
এই পৃথিবীতে ৩৮০০ জাতের গ্যানোডার্মা মাশরুম আছে। এর মধ্যে ২০০০ জাতের গ্যানোডার্মা মাশরুম খাদ্য রুপে ব্যবহার উপযোগী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উন্নত মানের হোটেলে এই গ্যানোডার্মা মাশরুমকে খাদ্য তালিকায় রেখেছে। যার কারণে বিভিন্ন দেশে গ্যানোডার্মা মাশরুম চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে এবং বৈদেশীক মূদ্রা অর্জন করছে। ২০০ জাতের গ্যানোডারমা মাসরুমের মধ্যে ঔষধি গুন আছে। এর মধ্যে ৬ প্রজাতির লাল গ্যানোডার্মা মাশরুমের সবচেয়ে বেশী ঔষধি গুন আছে। ভেষজ (Herbal) বা ঔষধি গুন সম্পন্ন লাল গ্যানোডার্মা মাশরুমের কে ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথাঃ Peacock Gano, kimshen Gan, LIver Gano, Heart Gano, Brain Gano, Ruyi Gano
গ্যানোডার্মা বা মাশরুমের প্রাচীণ ইতিহাস
কথিত আছে যে, সভ্যতার আদি কেন্দ্র গ্রীস, রোম ও চীনে শরীরের শক্তি ও দীর্ঘ জীবনের জন্য মাসরুমকে প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হত। গ্যানোডার্মা মাশরুমের মধ্যে যে ভেষজ (Herbal) বা ঔষধি গুন আছে তা ৫০০০ বছরের ও বেশি সময় ধরে মানবজাতির কাছে পরিচিত যা প্রথম নথিবন্ধ হয় ২৮৩৪ খৃষ্টপূর্বে সেন নং চীনা ইতিহাসে।
১০০ বৎসর পূর্ব থেকে তার ভেষজ গুন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সেমিনার, প্রবন্ধ, এবং বই লিখা হচ্ছে যা বিভিন্ন দেশে সরকারী বা বেসরকারী প্রতিস্ঠানে প্রতিস্ঠীত।
গ্যানোডার্মা মাশরুমের বিভিন্ন দেশে বানিজ্যীক ভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে এবং এই গ্যানোডার্মা মাশরুমের দ্বারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রতিস্ঠান বানিজ্যীক ভাবে ঔষধ, প্রসাধণী, খাদ্য, পণীয় ইত্যাদি উৎপাদন করছে। ১৯৭০ সালে চীন ও জাপান, ১৯৮০ সালে তাইওয়ান এবং ১৯৮৩ সালে মালায়সিয়া বানিজ্যীক ভাবে চাষাবাদ ও ঔষধ, প্রসাধণী, খাদ্য, পণীয় সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী উৎপাদন শুরু করেছে ।
………………………………………………………
গ্যানোডার্মা মাশরুমের ভেষজ (Herbal) গুনাবলী ও উপকারিতা
* মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, মিনারেলের এমন সমন্বয় রয়েছে যা শরীরের “ইমিউনিটি সিষ্টেমকে” উন্নত করে।
* ফলে গর্ভবর্তী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।
* মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ খাবার।
* মাশরুমে রয়েছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন, এবং এনটাডেনিন।
* তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
* মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন ডি, যা শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত কার্যকর।
* মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফলিত এসিড ও লৌহ আছে, ফলে মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
* এছাড়া লিংকজাই-৮ নামক পদার্থ থাকায় এটি হেপাটাইটিস-বি জন্ডিসের প্রতিরোধক।
* মাশরুমে আছে বেটা-ডি, গ্লুকেন, ল্যাম্পট্রোল, ট্রাইটারপিনওয়েড ও বেনরজাপাইরিন, যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
* মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকাতে, বর্তমানে বিশ্বে এটি এইডস্ প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
* মাশরুমে ইলুডিন এস থাকাতে আমাশয়ের উপকার হয়।
* মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোজেন থাকাতে শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে, তাই যৌন অক্ষম রোগীদের জন্য মাশরুম একটি মহৌষধ।
* মাশরুমে এডিনোসিন থাকাতে এটি ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিরোধক।
* মাশরুমে স্ফিঙ্গলিপেড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় নার্ভ ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ রাখে।
মাশরুম খেলে মেরুদন্ড দৃঢ় থাকে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম আছে, যা হজমে সহায়ক, রুচিবর্ধক ও পেটের পীড়া নিরাময়ক।
* এতে নিউক্লিক এসিড ও এন্টি এলার্জেন থাকায়, কিডনি ও এলার্জি রোগের প্রতিরোধক।
* মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ সালফার সরবরাহকারী এমাইনো এসিড থাকায় নিয়মিত গ্রহনে চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে।
Contact us
MD ABUL KALAM (SSD)
DXN Service Center jashore
+8801733-928136 Whatsapp
+8801971-928136 imo
Email: dxnjashore@gmail.com
MD ABUL KALAM (SSD)
DXN Service Center jashore
+8801733-928136 Whatsapp
+8801971-928136 imo
Email: dxnjashore@gmail.com